পিয়াইন নদের পারের ছোট একটি গ্রাম শিমুলতলা। সেখানে দিনমজুর স্বামী আর সন্তানদের নিয়ে বাস করেন রাশেদা খাতুন (৪৬)। কোমরপানি ডিঙিয়ে কাছে যেতেই তিনি অনেকটা জোর করে হাত ধরে টেনে নেন ঘরের ভেতরে। হাতের স্পর্শ লাগতেই রাশেদার শরীরের প্রচণ্ড তাপ অনুভূত হয়। ১০২ থেকে ১০৩ ডিগ্রি জ্বর হবে তাঁর। খুসখুসে কাশছেন, আর নাক দিয়ে জোরে জোরে শ্বাস টেনে সর্দি থামাচ্ছেন।
রাশেদা ডুকরে কেঁদে উঠলেন। বললেন, ‘ঈদের আগের রাইত ১০ বছরের মাইয়াটা ঘুমের মইধ্যে গড়াইয়া চৌকির নিচে পড়ে। তার চিক্কুর শুইনা জাইগা দেখি, ঘরে হাঁটুপানি। কুনুরকমে জান লইয়া গেরামের পাশের বালুর স্টেকে (স্তূপ) যাই। আইজ (গতকাল) ফিরছি। কাপড়চোপড়-লেপ-তোশক ভিইজা নষ্ট অই গেছে। পাকঘর, ডেগ-ডেচকি আফালে ভাসাইয়া নিয়া গেছে, ঘরের বেড়াও ভাঙছে। কি-লা যে চলতাম, খাইতাম! বানের মেঘে (বৃষ্টি) ভিইজা জ্বর আইছে। ডাক্তর দেখাইবারও ট্যাকা নাই!
সম্পাদকীয় প্যানেল-
প্রকাশক : --------------
সম্পাদক : --------------
ঠিকানা :
বিজয় নগর, ঢাকা-১০০০
মোবাইল : ------------
ই-মেইল : ------------
© All rights reserved 2024 সময়ের বার্তা